অর্থ সংরক্ষণের ৫টি কার্যকরী কৌশল
আপনার নিজের জীবনের কিছু লক্ষ্য যেমন বাড়ি বা নতুন গাড়ি কেনা বা বিদেশে ভ্রমণ ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাজেটের ব্যাপারে সচেতন হওয়া বা ট্র্যাক রাখা কঠিন হতে পারে। আপনার প্রতিদিনের জীবনের ব্যয় হঠাৎ আপনার সঞ্চয়ী লক্ষ্যকে পিছনে ফেলে দিতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কৌশল আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে, আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করতে এবং আপনার সঞ্চয় বাড়ানোর মাধ্যমে আপনাকে ট্র্যাকে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
লক্ষ্য স্থির করুন
আপনি যদি একটি স্থির লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করেন তবে লক্ষ্যটির ক্রমাগত পরিকল্পনা আপনাকে এদিকে মনোযোগ রাখতে সহায়তা করবে। আপনার ব্যয়ের মাত্রা পরিকল্পনা করুন এবং সঞ্চয় বাড়াতে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন; এভাবেই, আপনি ধীরে ধীরে আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছে যাবেন।
প্রয়োজনে আপনার লক্ষ্যগুলোর ছবি আপনার সামনে ঝুলিয়ে রাখুন। এগুলো আপনাকে অনুপ্রাণিত করতে সাহায্য করবে।
অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলুন
আপনার জীবনে এমন অনেক সময় আসবে যেখানে বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের জন্য কিছু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করতেই হবে। আপনার লক্ষ্য অটুট রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো এই জাতীয় পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা। এই ধরনের ব্যয় বুঝে করলে আপনার সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। তাই, সাশ্রয়ী মনোভাব নিয়ে অহেতুক ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করুন।
ব্র্যান্ডের প্রতি আপনার আনুগত্য নিয়ন্ত্রণ করুন
আপনি যদি কোন বিশেষ ব্র্যান্ডের প্রতি অনুগত হন তবে বারবার ক্রয় করার বিষয়ে খুব সচেতন হোন। এটি সম্ভাব্য যে আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড আপনার ক্রয় ক্ষমতার ব্যাপারটা বুঝে। আপনার আনুগত্যের সুযোগ নিয়ে আপনাকে বেশি দামের জিনিসও কিনতে প্রভাব খাটাতে পারে। তাই আবেগের বশে কোন ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিন। ভালো ডিল পেতে মার্কেটের অন্যসব ব্র্যান্ডকেও যাচাই করে দেখুন।
নিজের ক্রেডিট কার্ডের বিল ও লোন সময়মতো পরিশোধ করুন
ক্রেডিট কার্ডের বিল ও লোনের টাকা সময়মতো পরিশোধ করলে অতিরিক্ত সুদ দেওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন আবার তা আপনাকে সঞ্চয়েও সাহায্য করবে। সময়মতো রি-পেমেন্ট না করার সম্ভাবনা এড়াতে রিমাইন্ডারের ব্যবস্থা করুন এবং পেমেন্ট চেকলিস্ট নিয়মিত আপডেট রাখুন। সবসময় সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে বেশি অর্থ প্রদানের চেষ্টা করুন, নয়তো আপনাকে সুদ হিসেবে আরও অনেক বেশি অর্থ প্রদান করতে হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় লোন নেওয়া থেকে বিরত থাকুন আর আপনার যে উপার্জন আছে তা দিয়েই সব চাহিদা পূরণের চেষ্টা করুন।
বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাকাপোক্ত পরিকল্পনা করুন
আপনার অর্থের লেনদেনকে সীমাবদ্ধ রেখে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টগুলি আপনাকে মুনাফা প্রদান করতে পারে, যা আপনার সঞ্চয়ের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সহযোগী হবে। পাশাপাশি, আপনি একটি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যেখানে ভবিষ্যতের জন্য টাকা সঞ্চয় হতে থাকবে। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা করার অন্যতম সেরা উপায় হলো বীমা পলিসি কেনা। জীবন বীমা পলিসিগুলো আজকাল আমানত সুরক্ষা প্রকল্প (ডিপিএস)-এর মতো অনেকগুলি অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে এসেছে। একটি ডিপিএস পলিসি শুধু আপনার সঞ্চয়ের লক্ষ্যকেই সুরক্ষিত করবে না, বরং আপনার অনুপস্থিতিতে আপনার পরিবারকে আর্থিক সুরক্ষাও দেবে। মেটলাইফ বাংলাদেশ-এর এমন অনেক পলিসি আছে যেগুলো আপনি নিজের ও পরিবারের জন্য যে ধরনের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে চান তা পূরণে সহায়তা করবে। আপনার আর্থিক লক্ষ্যকে সঠিক পথে রাখতে আমাদের ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েটদের কাছে আর্থিক পরামর্শ নিন।
সঠিক পরিকল্পটি বেছে নিন ৫টি সহজ উপায়ে
ইনসিওরেন্স বাংলাদেশে এখনও একটি অপরিপক্ক ক্ষেত্র। বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা একভাগেরও কম মানুষ বীমা পরিধির আওতাধীন।
একটি অথবা প্রয়োজন অনুযায়ী কয়েকটি পরিকল্প নিয়ে একটি জীবনবিমা প্ল্যান সাজানোই আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত