ক্যান্সারের সাথে লড়াই এবং এর চিকিৎসার জন্য আর্থিক প্রস্তুতি

ক্যান্সারের সাথে লড়াই এবং এর চিকিৎসার জন্য আর্থিক প্রস্তুতি

 

গুরুতর অসুস্থতাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত  করতে পারে। আমাদের জীবনযাত্রার ধরণ এবং কাজের চাপে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর কারণে যেকোন বয়সেই এই মারাত্মক রোগগুলো আমাদেরকে আক্রান্ত করতে  পারে। ঠিক এমন একটি রোগের নাম হচ্ছে ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর  ১,৫৬,৭৭৫ জন বাংলাদেশী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।  

ক্যান্সারের ২০০ -এরও বেশি ধরণ থাকায় এর চিকিৎসাও ভিন্ন ভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন; তবে প্রাথমিকভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা তিন ধরণের হয়ে থাকেঃ সার্জারি, রেডিয়েশন এবং ফার্মাকোলজিক্যাল থ্যারাপি (কেমোথ্যারাপি, টারগেটেড থেরাপি, হরমোন থেরাপি এবং ইমিউনো থেরাপিসহ)। কিছু রোগীকে তিনটি পদ্ধতিতেই চিকিৎসা নিতে হয়, আবার কেউ কেউ একটি বা দুইটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। আর্থিক দিক থেকে সামর্থ্যবান অন্যান্য রোগীরা আরও উন্নত চিকিৎসা যেমন, স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট, হাইপারথারমিয়া, ফটোডাইনামিক থেরাপি, ব্লাড ট্রান্সফিউশান -এইসকল চিকিৎসা নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ক্যান্সার রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি অন্যান্য সেবারও প্রয়োজন হতে পারে যেমন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার, রিহ্যাবিলিটেটিভ থেরাপি, মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুষ্টি পরামর্শ ও কার্ডিওলজি পরামর্শ ইত্যাদি।

ক্যান্সার চিকিৎসার জটিলতা এবং একাধিক বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনীয়তা এই রোগের চিকিৎসাকে ব্যয়বহুল করে তোলে। এতে রোগীদের প্রচুর মেডিকেল বিল খরচ [PM1] গুনতে হয় যা তাদের জমানো সঞ্চয় ভাঙতে বাধ্য করে এবং ফলে তাদের অবসর জীবন বা ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্যান্সার নির্ণীত হলে যে আর্থিক পরিণতি ক্ষতি ঘটে তা মোকাবেলা করা পুরো পরিবারের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে। খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশীই আছেন যারা মারাত্মক অসুস্থতা মোকাবেলা করার জন্য আর্থিকভাবে প্রস্তুত, তাই ক্যান্সারের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন বীমা পরিকল্পনা বাছাই করলে তা কঠিন সময়ে আপনাকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ ও সুরক্ষাঃ

ক্যান্সার একটি জটিল রোগ যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন। এমনকি পূর্বে আপনার পরিবারে কোন ক্যান্সার আক্রান্ত সদস্য না থাকলেও অন্যান্য কারণে আপনার এই রোগ হতে পারে। বলা বাহুল্য, এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সবচেয়ে উত্তম এবং সমাজে প্রচলিত পন্থা হচ্ছে একটি সুপরিকল্পিত আর্থিক পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠিত করা। কেননা, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কখনোই নিশ্চিত থাকা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট কিছু ঝুঁকি এড়াতে পারলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমানো যায়। ধূমপান না করা বা নিয়মিত ব্যায়াম করে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার মতো জীবনের ছোট ছোট সিদ্ধান্তগুলিও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর হতে পারে।  স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার সনাক্ত করা সম্ভব। এই সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে আপনি এবং আপনার পরিবার আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকা উচিৎ।

ক্যান্সার বীমা কীভাবে কাজ করে এবং কী কী সুরক্ষা দেয়ঃ

ক্যান্সার বীমা পলিসি একধরণের স্বাস্থ্য বীমা যা ক্যান্সারের চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। জীবনের শুরুর দিকেই এই ধরণের পলিসি কেনার কথা ভাবা উচিৎ, যাতে করে প্রয়োজনের সময়ে স্বাস্থ্য কভারেজ পাওয়া যায়। ক্যান্সারের জন্য সুনির্দিষ্ট বীমা পলিসিগুলি বাছাই করার ক্ষেত্রে মানুষের অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি বিবেচনায় রেখে, মেটলাইফ নিয়ে এসেছে [https://www.metlife.com.bd/solutions/health-protection/cirop-updated/]

এই পলিসির আওতায় গ্রাহক ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে পলিসির অধীনে ২,০০,০০০ থেকে ২০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। পরিকল্পের সময়কালে ক্যান্সারসহ অন্যান্য যেকোন অসুস্থতায় দুর্ভাগ্যবশত রোগীর মৃত্যু হলে, রোগীর পরিবারকে কভারেজের পুরো অর্থই প্রদান করা হবে। পলিসিগ্রাহক যদি কভারেজের পুরো সময় জুড়ে সুস্থ থাকেন, তবে প্রদত্ত প্রিমিয়ামের পুরো অর্থই ফেরত প্রদান করা হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনার সুবিধাসমূহ ভিন্ন ভিন্ন হলেও, বাংলাদেশের বেশিরভাগ বীমাকারীরাই ক্যান্সারের মতো অসুস্থতা সনাক্তকরণের পর বীমাকৃত ব্যক্তিকে একটি এককালীন অর্থ প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশী মুসলিমদের জন্য মেটলাইফের রয়েছে একটি শরিয়াহ সম্মত বীমা পলিসি [https://www.metlife.com.bd/content/dam/metlifecom/bd/PDFs/Brochure/takaful.pdf] যা ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অসুস্থতাগুলির জন্য কভারেজ প্রদান করে থাকে।  মেটলাইফের তাকাফুল ডিপিএসে তিনটি প্যাকেজ রয়েছে: গোল্ড, সিলভার  এবং ব্রোঞ্জ, যা শরীয়াহ রীতি অনুসরণ করে মেয়াদপূর্তি মূল্য এবং বীমা সুবিধাসহ সুরক্ষা এবং সঞ্চয় সুবিধা সরবরাহ করে। এতে মারাত্মক অসুস্থতার ক্ষেত্রে একটি সুবিধা রয়েছে যা অসুস্থতা সনাক্তকরণের সময়ে বীমাকারীকে তার পলিসি নেওয়ার সময় বয়স এবং পলিসির নীতিমালার উপর ভিত্তি করে অর্ধেক বা সম্পূর্ণ পরিমাণের সমান একটি এককালীন অর্থ প্রদান করে থাকে।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে অসুস্থতার মতো অপ্রত্যাশিত সমস্যাগুলির জন্যে আগে থেকেই আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকলে তা মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যায়। নতুন নতুন স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যগুলো অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে, ক্যান্সারের মতো মারাত্মক অসুস্থতাগুলির জন্য স্বাস্থ্য বীমা ক্রয় করে রাখা খুবই জরুরী। শুধুমাত্র ক্যান্সার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাগুলো যদি ব্যয়বহুল বলে মনে হয় তবে আপনি মেটলাইফের(https://www.metlife.com.bd/solutions/health-protection/critical-care-updated/)এর মতো কোন মারাত্মক অসুস্থতা রাইডার নিতে পারেন। আপনার মূল পলিসির পাশাপাশি এই সম্পূরক সুবিধাটি ক্রয় করলে আপনি খরচের দুশ্চিন্তা ছাড়াই সেরা চিকিৎসা সেবাটি গ্রহন করতে পারবেন।