মেটলাইফের যাত্রা
১৮৬৩ সালের নিউইয়র্কের একদল ব্যবসায়ীর উদ্দ্যাগে, ন্যাশনাল ইউনিয়ন লাইফ এবং লিম্ব ইন্সিওরেন্স কোম্পানি আমেরিকার গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নাবিক এবং সেনাদের জন্য ইনস্যুরেন্স পলিসি করার ব্যাবসা শুরু করে। ১৮৬৪ সালের শেষ পর্যন্ত ন্যাশনাল ইউনিয়ন মাত্র ১৭টি লাইফ ইন্সিওরেন্স পলিসি এবং ৫৬টি এক্সিডেন্ট পলিসি বিক্রয় করে। কোম্পানিটি ২৭টি লাইফ কোম্পানির মধ্যে্ একেবারে শেষে অবস্থান করে এবং তাদের লোকসান হয় ১৪০০ ডলার।
এর পরের পাঁচ বছরে নানা পরিবর্তনের সাথে পেরে না উঠায় কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জেমস আর. ডাও এবং বোর্ড অব ডিরেক্টররা ক্যাজ্যুয়ালটি ব্যবসা ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন এবং কেবল লাইফ ইন্সিওরেন্স ব্যবসার দিকে নজর দেন। এভাবেই যাত্রা শুরু হয় মেট্রোপলিটন লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানির।
মেটলাইফ এজেন্টদের জাগরণ
১৮৭০ সালে মারাত্মক অর্থনৈতিক ধ্বসে নিউইয়র্কের ৭০টি লাইফ ইন্সিওরেন্স কোম্পানি ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ে। মেটলাইফ এই ধাক্কা সামলে নেয়ার পর ১৮৭৯ সালে প্রেসিডেন্ট জোসেফ এফ. ন্যাপ যুক্তরাজ্যে ব্যবসা গড়ে তোলার দিকে নজর দেন। এরপর, ইংরেজ এজেন্টদের নিয়ে এসে আমেরিকান এজেন্সির কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিল মেটলাইফের একটি সফল সিদ্ধান্ত।এতে করে ১৮৮০ সালেই কোম্পানি প্রতিদিন ৭০০টি করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি রেজিস্টার করতে থাকে। এই সফলতা দ্রুত তাদের বিপণনের খরচ কমিয়ে আনে; যা এই প্রোগ্রামকে সফলতা এনে দেয়। এর ফলে মেটলাইফ এজেন্টরাও ভরসার প্রতীক হয়ে উঠে বিপদাপন্ন পরিবারগুলোর কাছে।
শক্তিশালী এজেন্সি মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ
মেটলাইফে এজেন্টদের প্রতি সপ্তাহে মানুষের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে অনুপ্রাণিত করা হয়, যা সম্পর্ক রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পন্থা হিসেবে বিবেচিত।
প্রিমিয়াম সংগ্রহের সময় ইন্সিওরেন্স এজেন্টরা তাদের গ্রাহকদের সমস্যার কথা শোনেন, বোঝেন এবং আশ্বস্থ করেন। ১৯০৯ সালের দিকে এই প্রক্রিয়া এতটাই সফল ছিলো যে, মেটলাইফ সে দেশের সর্বোচ্চ লাইফ ইন্সিওরার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজও মেটলাইফ উত্তর আমেরিকায় তার শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে।